মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
আমজাদ হোসেন, বাউফল প্রতিনিধিঃ অবশেষে সাড়ে চার মাস পর পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতা নাঈম সাজ্জালের (২৪) হাত ও পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে বাউফল থানায় মামলা রুজু হয়েছে।মামলার বাদী হয়েছেন তাঁর বাবা মো. খোকন সাজ্জাল। সালাউদ্দিন সিকদার ওরফে স্বজলকে প্রধান আসামি করে আট জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও আট-নয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা নাঈম সাজ্জাল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পটুয়াখালী সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান হাসান (আসল নাম) এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় কোন্দলের জেরে ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কালিশুরী বাজারের বৈরাগী বাজারের পশ্চিম পাশের সড়কে ছাত্রলীগ নেতা নাঈমকে একই দলের আরেক পক্ষের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা লোহার পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয়।
নাঈমের বাবা মো. খোকন সাজ্জাল কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,‘আমার ছেলের অবস্থা ভালো না। এখনও স্বাভাবিক হতে পারেনি। ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে একাধিকবার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।দেরিতে হলেও মামলা রুজু হয়েছে। আমি এতে খুশি। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার পূর্বক সুষ্ঠু বিচার চাই।’
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. স. ম ফিরোজ। অপর পক্ষে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হক। গত পাঁচ বছরে দুই পক্ষের মধ্যে অসংখ্য সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর ওইসব ঘটনায় অন্তত ২৫ টির মত মামলা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা নাঈম মেয়র পক্ষের সমর্থক।বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।উল্লেখ্য গত বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে ‘ছাত্রলীগ নেতাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম’ শিরোনামে একটি প্রকাশিত হয়।
Leave a Reply